ডেস্ক নিউজ ||
নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ঢাকা শহর অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বিমানের প্রশিক্ষণের স্থান নতুন করে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সকল সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলব, এই ধরনের প্রশিক্ষণ কোথায়, কীভাবে এবং কোন চ্যানেল ব্যবহার করতে হবে তা নতুন করে পর্যালোচনা করা উচিত।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে উত্তরায় প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি এসব কথা বলেন।এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিমান নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ, পাইলট এরর এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও উড়োজাহাজগুলো পুরোনো৷ এগুলো ট্রেনিং জেট। আমার জানামতে এগুলো পুরোনো হলেও ভেতরের যে অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়। এখন এটার ব্ল্যাকবক্স অ্যানালাইসিস না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না, এটা কি টেকনিক্যাল এরর নাকি পাইলট এরর। পাইলট এররের কারণেও বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান যিনি উড়াচ্ছিলেন তিনি মারা গেছেন। এটা খুব মর্মান্তিক ঘটনা।হতাহতদের বিষয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, এখানে (বার্ন ইনস্টিটিউট) ইতোমধ্যে দশ জন মারা গেছেন। অনেকের শরীরে ক্ষতের পরিমাণ অনেক বেশি। ওনারা (চিকিৎসক) তাদের নিয়ে চিন্তা করছেন। কিছু কিছু রোগী আছে যাদের দীর্ঘ সময় চিকিৎসা লাগবে। সিঙ্গাপুর থেকে টিম আসছে, তাদের দেখে যদি দরকার হয়, সিঙ্গাপুর নিয়ে যাবে।সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু করা হবে। যতজনকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, তাদেরকে সেখানেই পাঠানো হবে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে যা কিছু করার প্রয়োজন, তা করছি।
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত