রাসেদুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক ||
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামে তিন দিন পর এক কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করে রাতের অন্ধকারে পুনরায় বাড়িতে দাফন করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার ফলে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।সোমবার (১৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজিপুর থানার ওসি নূরে আলম।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ৯ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কৃষক আব্দুস সাত্তার (৬৭)। ওইদিনই তাকে সোনামুখী গ্রামের জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তবে রোববার সকালে স্থানীয়রা আব্দুস সাত্তারের বাড়ির পাশে একটি নতুন কবর দেখতে পান।নিহতের ভাতিজা মজনু মিয়া বলেন, আমার চাচা আব্দুস সাত্তার পূর্বপাড়ায় একা থাকতেন, আর তার পরিবার অন্য গ্রামে বসবাস করে। রোববার সকালে হঠাৎ নতুন কবর দেখে আমরা সবাই অবাক হয়ে যাই। পরে আমাদের মনে হলো, হয়তো চাচার লাশ রাতের অন্ধকারে এখানে এনে দাফন করা হয়েছে।গ্রামের এক বৃদ্ধ বলেন, গভীর রাতে কবরস্থানের পাশে খোঁড়াখুঁড়ির শব্দ পেয়ে আমি এগিয়ে যাই। দেখি পাঞ্জাবি পরা চার-পাঁচজন ব্যক্তি কবর খুঁড়ছেন। সামনে এগোতেই তারা ধমক দিয়ে সরে যেতে বলেন। আমি ভয় পেয়ে চলে আসি।আব্দুস সাত্তারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদ বলেন, সাত্তার জীবদ্দশায় বলেছিলেন, মারা গেলে যেন তাকে তার বাড়ির পাশে কবর দেয়া হয়। কিন্তু সেই জায়গাটি সরকারি খাসজমি হওয়ায় তখন সেখানে দাফন করা হয়নি। এখন দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেখানেই কেউ তাকে আবার কবর দিয়েছে।সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, তরিকাপন্থি ভক্তরা শুরু থেকেই কবরস্থানে দাফনের বিরোধিতা করছিলেন। জানাজার আগ মুহূর্তেই তারা বলেছিলেন, মরদেহ কবরস্থানে দাফন না করে নিজ বাড়িতে দাফন করতে হবে। সম্ভবত তারাই রাতের আঁধারে মরদেহ তুলে এনে বাড়িতে পুনরায় দাফন করেছেন। তবে কারা এটি করেছে, সঠিকভাবে কেউ বলতো পারছে না। এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ওসি নূরে আলম বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, কারা যেন পূর্বের কবরস্থান থেকে মরদেহ তুলে নতুন করে দাফন করেছেন। এখনও এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি।
কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত