রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
The Dhaka News Bangla

দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে সন্ধ্যায় ফের ইসরায়েলের হামলা

দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে সন্ধ্যায় ফের ইসরায়েলের হামলা

গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরও ইসরায়েল নতুন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতের হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

এমন অবস্থায় শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘হাতছাড়া না করতে’ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অস্ত্রবিরতি পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েও নতুন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো ওই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এমন একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলো তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।

গাজার নাজুক অস্ত্রবিরতি নতুন করে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এই হামলার কারণে। এর আগে, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার’ নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারীশিশু

ইসরায়েল জানায়, তারা হামাসের সিনিয়র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই হামলা করেছে এবং ‘ডজনখানেক’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এরপর বুধবার দুপুরে তারা আবারও অস্ত্রবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর একইদিন সন্ধ্যায় আবারও হামলা চালায় তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ হামলা সত্ত্বেও অস্ত্রবিরতিঝুঁকির মুখে নেই”। অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই হামলায় হতাশা প্রকাশ করলেও জানায়, তারা এখনো যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী

এমন অবস্থায় বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলায় বহু শিশুও নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক বলেন, এত বিপুল সংখ্যক হতাহতের খবর “ভয়াবহ”। শান্তি যেন “হাতছাড়া হতে না দেওয়” সে বিষয়ে সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। একই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।

হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, রাফাহে যে ঘটনায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে, সেটার সঙ্গে তাদের যোদ্ধাদের “কোনও সম্পর্ক নেই”। তারা অস্ত্রবিরতি মানার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার কারণে এক মৃত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় তারা।

হামাস বলেছে, ইসরায়েলের নতুন হামলা চলতে থাকলে সেটি “বন্দিদের মরদেহ উদ্ধার অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবে।”

অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রেডক্রসের প্রতিনিধিদের ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা দাবি করছে, এমন সাক্ষাৎ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

হামাস এ নিষেধাজ্ঞাকে বন্দিদের অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে, যুদ্ধ চলাকালে কার্যত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎই ছিল এবং এটি “ইসরায়েলের ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন ও অনাহারে রাখার নীতিরই অংশ।”

যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে

The Dhaka News Bangla

রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫


দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে সন্ধ্যায় ফের ইসরায়েলের হামলা

প্রকাশের তারিখ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫

featured Image
গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরও ইসরায়েল নতুন হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতের হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।এমন অবস্থায় শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘হাতছাড়া না করতে’ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অস্ত্রবিরতি পুনরায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েও নতুন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো ওই হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এমন একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলো তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।গাজার নাজুক অস্ত্রবিরতি নতুন করে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এই হামলার কারণে। এর আগে, গত মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ‘প্রতিশোধমূলক জোরালো হামলার’ নির্দেশ দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।ইসরায়েল জানায়, তারা হামাসের সিনিয়র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এই হামলা করেছে এবং ‘ডজনখানেক’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এরপর বুধবার দুপুরে তারা আবারও অস্ত্রবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেয়। এরপর একইদিন সন্ধ্যায় আবারও হামলা চালায় তারা।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সর্বশেষ হামলা সত্ত্বেও অস্ত্রবিরতি “ঝুঁকির মুখে নেই”। অন্যদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই হামলায় হতাশা প্রকাশ করলেও জানায়, তারা এখনো যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী।এমন অবস্থায় বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলায় বহু শিশুও নিহত হয়েছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক বলেন, এত বিপুল সংখ্যক হতাহতের খবর “ভয়াবহ”। শান্তি যেন “হাতছাড়া হতে না দেওয়” সে বিষয়ে সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। একই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, রাফাহে যে ঘটনায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে, সেটার সঙ্গে তাদের যোদ্ধাদের “কোনও সম্পর্ক নেই”। তারা অস্ত্রবিরতি মানার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার কারণে এক মৃত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় তারা।হামাস বলেছে, ইসরায়েলের নতুন হামলা চলতে থাকলে সেটি “বন্দিদের মরদেহ উদ্ধার অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবে।”অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রেডক্রসের প্রতিনিধিদের ফিলিস্তিনি বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারা দাবি করছে, এমন সাক্ষাৎ নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।হামাস এ নিষেধাজ্ঞাকে বন্দিদের অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে, যুদ্ধ চলাকালে কার্যত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎই ছিল এবং এটি “ইসরায়েলের ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন ও অনাহারে রাখার নীতিরই অংশ।”

The Dhaka News Bangla

সম্পাদক: তাসকিন আহমেদ রিয়াদ 

কপিরাইট © ২০২৫ The Dhaka News Bangla । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত