
পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ, যিনি মো. সোহাগ নামেও পরিচিত, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় মঞ্জুর হওয়া পাঁচ দিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তা গ্রহণ করার আবেদন করেছেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় পাঁচ দিন ও ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় মহিনের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জনের মধ্যে চার আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গত ১৭ জুলাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফেটট্র লম্বা মনির।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রেজওয়ান উদ্দিন, নান্নু কাজী, সজীব বেপারী, রাজীব বেপারী ও তারেক রহমান রবিন। আসামি তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি অস্ত্র রাখার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২০ জুলাই ২০২৫
যুক্ত থাকুন দ্যা ঢাকা নিউজের সাথে